আজ ২১ শে আগস্ট। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর। ২০০৪ সালে এই দিনে গ্রেনেড হামলায় সেই সময়ের বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন। গুরুতর আহত হন অসংখ্য মানুষ।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের। নেতাকর্মীদের মানবপ্রাচীরের কারণে সেদিন প্রাণে রক্ষা পাওয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও ওই ঘটনার বিচার এখনো শেষ হয়নি।
২১ আগস্ট ২০১৪, দিনটি ছিল শনিবার। বিকেলে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। প্রধান অতিথি সেই সময়ের বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভাষণ শেষে ট্রাক থেকে নামতে যাবেন শেখ হাসিনা, ঠিক সেই সময়ে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে শুরু হয় গ্রেনেড হামলা।
ওইদিন হামলার পর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে আহত-নিহতদের দেহ। এক যুগ পর এখনো অনেকে শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিভৎসতায় রক্ত আর লাশের স্তুপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল।
প্রতিবছরের মত এবারও দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচী পারন করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
কর্মসূচীতে অংশ নিতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচী নিয়েছে।